ছাতকে একাত্তরের পরাজিতদের প্রেতাত্মা ও পঁচাত্তর সৃষ্টিকারীদের
দোসররা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে -এম পি মানিক
মোঃজাকারিয়া।
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের প্রতিবাদে ছাতকে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, একাত্তরে পরাজিতদের প্রেতাত্মা ও পঁচাত্তর সৃষ্টিকারীদের দোসররা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এসব প্রেতাত্মাদের প্রতিহত করতে করতে হবে। প্রাণমাশের হুমকীকারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সাল আর ২০২২ সালের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। বর্তমানে হুমকীদাতা এসব কথিত নেতারা বিক্ষোব্ধ জনতার রোষানল থেকে পালিয়ে বাঁচার ঠাই পাবে না। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ যে কতশক্তিশালী তা ছাতক ও গোবিন্দগঞ্জের অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে আবারো প্রমানীত হয়েছে। শনিবার বিকেলে শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (মন্টু বাবুর মাঠ) ছাতক পৌর আওয়ামীলীগের সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক, সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, ছাতক পৌরসভার প্যানল মেয়র তাপস চৌধুরী ও সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি বাবুল রায়ের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব প্রতিবাদ সমাবেশে মুহিবুর রহমান মানিক এমপি 'আরো বলেন, দেশের অভুতপূর্ন উন্নয়ন বিএনপি-জামাতের গাত্রদাহের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববাসীতে তাক লাগিয়ে ২৫জুন স্বপ্নের পদ্মাসেতু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। যে সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার এক-একটি স্বপ্ন বাস্তাবায়নে দেশবাসীর মধ্যে বইছে উল্লাস ঠিক সেই সময়ে রাজাকারদের দোসররা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়া দেশের উন্নয়নকে অস্বীকার করে, ছাতক-দোয়ারার উন্নয়কে অস্বীকার করে। তিনি বলেন, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একাত্তরে পরাজিতদের প্রেতাত্মা ও পঁচাত্তর সৃষ্টিকারীদের দোসরদর চিহ্নিত করার সময় এসেছে। এদের চিহ্নি ও প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগের বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভুমি ছাতক-দোয়ারা থেকে এসব প্রেতাত্মাদের উৎখাত করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আহমদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুন্দর আলী, মাস্টার আওলাদ হোসেন, গয়াছ আহমদ, আব্দুল অদুদ, বিল্লাল আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, আব্দুল হেকিম, আফজাল আবেদীন আবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এড. আশিক আলী, আফজাল হোসেন, আফতাব উদ্দিন, নাজমুল হোসেন, সামছু মিয়া, রফিকুল ইসলাম কিরন, সাব্বির আহমদ, মুরাদ আহমদ, সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সিবিএ সেক্রেটারি আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এড. ছায়াদুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওবায়দুর রউফ বাবলু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ নেতা সাদমান মাহমুদ সানি, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাকিম আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তাজামুল হক রিপন প্রমূখ। প্রতিবাদ সমাবেশে ও বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা খন্ড-খন্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে মিছিলে-মিছিলে ভরে উঠে গোটা শহর। বিকেলে সভা শেষে মুহিবুর রহমান মানিকের নেতৃত্বে শহরে বের করা হয় এক বিক্ষোভ মিছিল। এর আগে সকালে গোবিন্দগঞ্জে ও দুপুরে দোয়ারাবাজারে মুহিবুর রহমান মানিক এমপির নেতৃত্বে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন। সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামীলীগ নেতা চান মিয়া চৌধুরী, আব্দুল আওয়াল, আবুল হাসনাত, আনিসুর রহমান চৌধুরী সুমন, আব্দুল খালিক, ইসতিয়াক রহমান তানভির, আব্দুস ছালাম, সুনু মিয়া মেম্বার, হাজী জয়নাল আবেদীন, জামাল উদ্দিন, রেজাউল করিম তালুকদার রাজু, পীর মোহাম্মদ আলী মিলন, এড. মনির উদ্দিন, কুহিন চৌধুরী, মিলন সিংহ, কামরুজ্জামান, আবু ছালিম চৌধুরী লাহিন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আছাব মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারী মাহফুজ বাবলু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল গাফাফার, তানভির চৌধুরী, শিপলু আহমদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুহিবুর রহমান তালুকদার টুনু, রাসেল মাহমুদ, যুবলীগ নেতা ফজলু মিয়া মেম্বার, আবু হানিফা সায়মন, রুয়েল চৌধুরী, আব্দুল কদ্দুছ শিপলু, শ্রমিক নেতা আজিজুর রহমান, জামিল আহমদ সহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।