ফরিদগঞ্জ সাহাপুর গ্রামে কালভার্ট নয় যেন মরণ ফাঁদ
মোঃ এনামুল হক খোকন পাটওয়ারী
ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডস্থ সাহাপুর গ্রামের গোলা বাড়ির পাশে অবস্থিত কালভার্টটি আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পারাপারে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ঢালাই পড়ে যাওয়ায় রডের ওপর কয়েকটি কাট দিয়ে চলাচলের ব্যবস্হা করেছে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ফরিদগঞ্জ সাহাপুর থেকে গ্রামীণ বাজারের প্রধান সড়ক এটি। গোলা বাড়ির পাশে খালের ওপর নির্মিত কালভার্টটির ঢালাই নেই, আছে শুধু রড। যেখান দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার লোক যাতায়াত করে। কালভার্ট পারাপারে প্রতিনিয়তই তারা বিপদে পড়ছেন। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে গত মার্চ মাসে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় কালভার্টের উপর উঠলে কালভার্টটি ভেঙ্গ যায় কিছু অংশ। পরবর্তীতে আর সংস্কার না করার কারণে এখানে প্রতিনিয়তই কোন না কোনো দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায় , এলাকাবেশীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫-০২-২০২০ সালে কালভার্ট নির্মাণ জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর পাটোয়ারী জানান, প্রায় ৩৭ বছর পূর্বে খালটির উপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এটি অনেক পুরানো হয়ে যাওয়াতে গত ৪ মাস আগে থেকে এর ঢালাই ঝরে পড়া শুরু হয়। যার ফলে আজ এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আব্দুল মান্নান শেখ জানান, এলাকার কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে আমাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। রাস্তা এবং কালভার্ট খারাপ থাকায় এখানে কোনো গাড়ি আসতে পারে না। রোগীকে কাধে করে নিতে হয়।
ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এমরান হোসেন বলেন, 'সত্যি এটি একটি মরণফাঁদ। কালভার্টটির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য আপতত কাট দিয়ে চলাচলের ব্যবস্হা করেছি,আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেছি,দ্রুত সময় নতুন করে কালভার্ট করার জন্য।
পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান শওকত বিএসসি সরাসরি কথা বলতে রাজি নন।এমনকি এই ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে রাজি নন।মুঠোফোনে শুধু এতটুকু বললেন আমরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।এটা বলে ফোন কেটে দিলেন পরবর্তীতে ফোন দিলে তিনি রিসিব করেননি।