ফরিদগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় দুই ভাইকে নির্যাতন, আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি
মোঃ এনামুল হক ( খোকন) পাটওয়ারী
ফরিদগঞ্জ উপজেলা-- প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মোঃ. ফয়েজ আহমেদ মৃধা ও শেখ ফরিদ নামে দুই ভাইকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।
এ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ভুক্তভোগী মো. ফয়েজ আহমেদ মৃধা, তার মা ফাতেমা বেগম, ভুক্তভোগী শেখ ফরিদের স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও ফয়েজের স্ত্রী আমেনা আক্তারসহ ফরিদ মৃধার সন্তান খাদিজা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ ফরিদ বলেন, গত শুক্রবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাহারের নির্দেশে তার বড় ভাই মোজাম্মেল হোসেন বাবুল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার পিতা মাতার খরিদকৃত ৪৮.৬২ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে তারা ধারাল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেয়।এর আগেও তারা একাধিক বার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ফসল ধংস ও আমাদের মালিকানা ঘোষণা সম্বলিত সাইনবোর্ড ভাংচুর করে।
বিবাদীদের সাথে আমাদের আত্মীয়তার বন্ধন ও নেই।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে মামলা করতে ফরিদগঞ্জ থানার উদ্দেশ্যে রওনা হলে স্থানীয় রুস্তমপুর বাজারে মোশারফের দোকানের সামনে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমদের দুই ভাইকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। ঘটনাটি এক ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করেন এবং পর দিন তা বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যাপক প্রচারিত হয়। এলাকাবাসী তখন অস্ত্রের ভয়ে আমাদের সাহায্য করতে কাছে আসতে পারেনি। পরে আমাদের দুই ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শেখ ফরিদ বলেন, এ ঘটনায় মোজাম্মেল হোসেন বাবুল " প্রধান আসামি করে মোঃ হোসেন " লোকমান হোসেন " দেলোয়ার হোসেন " মাহাবুব আলম সোহেল আসামি করে মামলা করা হয়েছে মামলা নং ২২/। এ পর্যন্ত মামলায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তার কৃত ৩ আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় হামলা চালায়। কিন্তু প্রধান আসামি মোজাম্মেল হোসেন বাবুল ও মোহাম্মদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। প্রধান আসামিও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত আমাদের কে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
No comments:
Post a Comment