১৭ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে জেলা, উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমা করেন তিনি।
বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিলো আজ। শেষ দিনে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর। ১৭ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে জেলা, উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমা করেনো তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. আব্বাস, উদ্দিন, সদস্য জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আওয়াল, সহ সভাপতি সালেহ আহমদ বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ দিপু, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আব্দুল বাসেত, সাধারণ সম্পাদক এবাদ আহমদ সহ জেলা, উপজেলা,পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন এবং বিভিন্ন গ্রামের মুরব্বিয়ান ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন জমা শেষে আব্দুস শুকুর বলেন, বিগত নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ভরসায় নৌকা দিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা সে নির্বাচনে যে প্রতিশ্রুতি আপনাদের দিয়েছিলেন তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। কাউকে লজ্জায় ভাসাইনি। সকল প্রতিশ্রুতি পুরন করতে নিরলস ভাবে কাজ করেছি। জননেত্রীর যে স্বপ্ন ছিলো গ্রামকে শহরে রুপান্তর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেছি। সেজন্য আবারও আমাকে দল মনোনীত করেছে। তাই পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সকলকে নিয়ে নান্দনিক পৌরসভা গড়তে কাজ করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন তিনি।
নৌকা শুধু কোনো ব্যক্তির নয় নৌকা বঙ্গবন্ধুর, নৌকা জননেত্রী শেখ হাসিনার, নৌকা বাংলার সকল মানুষের। এজন্য যোগ্য ব্যক্তির হাতেই শেখ হাসিনা এই নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন৷ তাই সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে ঘরে ফিরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দরা।
জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা বলেন, বিগত নির্বাচনে আব্দুস শুকুরকে জননেত্রী নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে অবহেলিত পৌরসভাকে বাসযোগ্য ও নান্দনিক করেছেন তিনি। যে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো সেই উন্নয়ন আপনারা পেয়েছেন।
এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে যারা বিদ্রোহী হয়েছেন তারা অবশ্যই তা প্রত্যাহার করবেন বলে অনুরোধ জানিয়ে জেলা নেতৃবৃন্দরা বলেন, যারা বিদ্রোহী হয়েছেন তারা ত্যাগী কর্মী সাবেক ছাত্রনেতা অবশ্যই তাদের জন্য সামনে আরও সুযোগ রয়েছে৷ তাই তাদেরকে দলের কমান্ড রাখার অনুরোধ জানান তারা।
এর আগে গত ১৩ মে (শুক্রবার) গণ ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আব্দুস শুকুরকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এবং ১৫ মে রবিবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে তাকে দলীয় মনোনয়ন পত্র প্রদান করা হয়।
No comments:
Post a Comment