ওয়ামের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে “রাষ্ট্রপতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি মহামান্য শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণ, আরব এবং ইসলামিক জাতি এবং বিশ্ববাসীকে সমবেদনা জানিয়েছে
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ৩ নভেম্বর, ২০০৪ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির শাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন
তিনি তার পিতা প্রয়াত মহামান্য শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েছিলেন, যিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ২ নভেম্বর, ২০০৪-এ মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
শেখ খলিফা ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির ১৬তম শাসক ছিলেন।
তিনি ছিলেন শেখ জায়েদের বড় ছেলে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে, শেখ খলিফা ফেডারেল সরকার এবং আবুধাবি সরকার উভয়েরই একটি বড় পুনর্গঠনের সভাপতিত্ব করেছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর, শেখ খলিফা সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের সমৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের জন্য তার প্রথম কৌশলগত পরিকল্পনা চালু করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল তার পিতা শেখ জায়েদের নির্দেশিত পথে চলতে থাকা। তিনি বলেছিলেন ” শেখ জায়েদ আমাদের ভবিষ্যতের পথনির্দেশনার বাতিঘর হয়ে থাকবে।
শেখ খলিফা তেল ও গ্যাস খাত এবং নিম্নধারার শিল্পের উন্নয়ন পরিচালনা করেন যা দেশের অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণে সফলভাবে অবদান রেখেছে।
তিনি উত্তর আমিরাতের চাহিদাগুলি জানার জন্য সমগ্র আমিরাত জুড়ে বিস্তৃত সফর করেন, এই সময়ে তিনি আবাসন, শিক্ষা এবং সামাজিক পরিষেবা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি প্রকল্প নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
শেখ খলিফা একজন ভালো শ্রোতা, বিনয়ী এবং জনগণের বিষয়ে গভীরভাবে আগ্রহী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং এই অঞ্চলের একজন অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
No comments:
Post a Comment