ফরিদগঞ্জে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ একটি প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে
মোঃ এনামুল হক খোকন পাটওয়ারী
ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শ্রবন প্রতিবন্ধী এক অসহায় ব্যাক্তিকে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আয়েশা বেগম (৫২) নামে প্রভাবশালী এক প্রবাসীর স্ত্রী’র বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানেন না মামলাতে দেয়া স্বাক্ষীরা। ঘটনা সত্য আখ্যায়িত করে মামলাটির মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশেরপর এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। উপজেলার চর দুঃখীয়া পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ আলোনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শ্রবনপ্রতিবন্ধী মনির হোসেনের আংশিক সম্পত্তি দখলে নিয়ে একটি পাকা ভবন নির্মাণের চেষ্টা করে আয়শা বেগম। এ নিয়ে মনিরের সাথে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। ফলে শ্রবনপ্রতিবন্ধী মনিরকে শায়েস্তা করতে আয়েশা বেগম বিভিন্ন গল্প রচনা করে তার কার্য সিদ্ধি হাসিল করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে অদ্যাবধি হয়রানী অব্যাহত রেখেছে। কয়েকটি মামলা ইতিপুর্বে মনিরের পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত। তাই পুনরায় মনিরকে হয়রানী করতে এ চাদাদাবীর মামলাটি করেছে আয়েশা বেগম।
অপরদিকে, স্বাক্ষীদের মধ্যে ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান, কাদির মিস্ত্রি, ইব্রাহিম, শরীফসহ স্থানীয় অনেকেই আয়েশা বেগমের সাথে মনির হোসেনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে স্বীকার করে জানান, চাঁদা দাবী ও মামলার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
ভুক্তভোগী মনির হোসেন জানান, আমি একজন অসহায় মানুষ। দিন চা-পান সিগারেট বিক্রি করে কোন রকম পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছি। আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রাণ চাই।
মামলার বাদী আয়েশা বেগমকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি, তিনি মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, মনিরের সাথে জমি সংক্রান্ত পুর্ব বিরোধ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে শালিস বেঠকে বসে সে বিরোধ মিমাংসার কথা বললে মনির ক্ষতিপূরণ দাবী করে। তাই তার বিরুদ্ধে ১২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর মামলা করেছি।
বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, তখন আমার কাছে স্বাক্ষীরা স্বাক্ষ্য দিয়েছে, তাই আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। প্রয়োজনে আদালতে স্বাক্ষীরা তাদের সঠিক স্বাক্ষ্য দিলে মামলার পরবর্তি ধাপ অগ্রসর হবে।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, উক্ত মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন আমি ফরিদগঞ্জ থানায় যোগদানের পূর্বে হয়েছে, তাই এ ব্যাপারে আমি অবগত নই।
জমি সংক্রান্ত পুর্ব বিরোধের বিষয়টি আড়ালে রেখে মনগড়া প্রতিবেদন প্রেরন করায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে সচেতন মহলে। প্রভাবশালী পরিবারের কাছে নিরিহ পরিবারের লোকজন চাঁদা দাবীকরে এমন হাস্যকর বিষয় দাবী করে সচেতন মহলের লোকজন মনে করেন আদালত মামলাটি পুন;তদন্ত করার আদেশ দিয়ে এবং পুন:তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহন পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।